প্রতিনিধি,লালমনিরহাট।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় জমিতে গাছ লাগা কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা আবুল কালাম আজাদ (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীর বাম হাতে ২টি আঙুল কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছেন।
সোমবার (২৪এপ্রিল) রাতে উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন আবুল কালাম। এ সময় প্রতিপক্ষরা তার ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগও করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলার চলবালা মদন পুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আবুল কালাম আজাদ ৮ শতক জমিতে ৮০টি মেহগনি চারা লাগান। এরপর একই গ্রামের কুদরুতুল্লাহ ছেলে জনি ও রনি গাছ লাগাতে বাধা প্রদান করে রাতের আধারে গাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ কালীগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার(২১ এপ্রিল) লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। থানায় অভিযোগ দেওয়ায় জনি, রনি গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার রাতে তার বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে বাম হাতের ৩টি আঙুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলে । এরপর তাঁর আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত আবুল কালাম আজাদ বলেন,আমার নিজ জমিতে মেহেগনি ৮০টি গাছের চারা রোপণ করেছি। প্রতিপক্ষ জনি ও রনি তাদের জমিতে ছায়া হবে বলে গাছ লাগাতে বাধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর জনি ও রনি তার দলবল আমার বাড়িতে আক্রমণ করে ভাঙচুর করে । রামদা দিয়ে আমার বাম হাতের ২টি আঙুল কেটে নেয়। আমি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত হাবিবুল্লা জনি হামলার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, তার ছোট ভাই বিদেশে থাকে । এই সুযোগে কালাম ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয় । জোর করে শ্লীলতাহানি ঘটনার চেষ্টা করে । এজন্যই তাকে সামান্য মারধর করা হয়েছে।
ওই এলাকার ইউপি সদস্য আলাল উদ্দিন বলেন,পরোকীয়ার জের ধরে মুলত ঘটনাটি ঘটেছে । গাছকাটা নিয়ে নয় ।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসূল বলেন, আঙুল কর্তনের বিষয়টি জেনেছি। এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।